মাসিক কী ও কেন হয়? নারী স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


আসসালামু আলাইকুম সবাইকে । আপনারা কেমন আছেন? আশা করি মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি 'মাসিক কী ও কেন হয়' নিয়ে । সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন, আশা করি সমাধান পেয়ে যাবেন । 

বন্ধুরা, কেমন আছেন? নারী জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলো মাসিক বা ঋতুস্রাব। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সমাজে এখনও নানা রকম দ্বিধা, লজ্জা আর সংকোচ কাজ করে। অথচ, এটি প্রত্যেক নারীর সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এই পোস্টে আমরা মাসিক কী, কেন হয়, এর সাথে সম্পর্কিত সাধারণ বিষয়াবলী এবং নারীস্বাস্থ্যের জরুরি দিকগুলো সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমাদের লক্ষ্য হলো, কিশোরী থেকে শুরু করে সকল বয়সী নারীরা যেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারেন এবং নিজেদের শরীর সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারেন। এমনকি পুরুষদেরও এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত, যাতে তারা পরিবারের নারী সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহযোগী হতে পারেন।

মাসিক কী ও কেন হয় নারী স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


মাসিক আসলে কী?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মাসিক হলো নারীদেহের জরায়ুর ভেতর থেকে রক্ত এবং মিউকাস মিশ্রিত তরল পদার্থের ২ থেকে ৭ দিন ধরে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসা। এটি কোনো অসুস্থতা নয়, বরং প্রজনন প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ এবং নারীদের সন্তান ধারণ ক্ষমতার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। সাধারণত, কিশোরী বয়সে (গড়ে ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে) প্রথম মাসিক শুরু হয়, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘মেনার্কি’ (Menarche) বলা হয়। এটি একটি মেয়ের নারী হয়ে ওঠার প্রাকৃতিক ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

কেন মাসিক হয়? (বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা)

মাসিক হওয়ার পেছনে রয়েছে আমাদের শরীরের কিছু হরমোনের সুক্ষ্ম কারসাজি। আসুন, এই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াটি একটু সহজ করে জেনে নিই:

  • হরমোনের ভূমিকা: মূলত দুটি প্রধান হরমোন – ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন – মাসিকের এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ডিম্বাশয় ও ডিম্বাণু: প্রতি মাসে নারীর ডিম্বাশয়ে একটি ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় এবং ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ‘ওভুলেশন’ বা ডিম্বপাত বলে।
  • জরায়ুর প্রস্তুতি: ওভুলেশনের পর সম্ভাব্য গর্ভধারণের জন্য জরায়ুর ভেতরের প্রাচীর (এন্ডোমেট্রিয়াম) পুরু হতে শুরু করে। যদি ডিম্বাণুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তবে এটি এই পুরু প্রাচীরে স্থাপিত হয়ে ভ্রূণে পরিণত হয়।
  • নিষেক না হলে যা ঘটে: কিন্তু যদি ডিম্বাণুটি নিষিক্ত না হয়, তাহলে এই পুরু হয়ে ওঠা এন্ডোমেট্রিয়ামের আর কোনো প্রয়োজন থাকে না। তখন হরমোনের প্রভাবে এটি ভেঙে যায় এবং রক্ত ও টিস্যু আকারে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর এটাই হলো মাসিক বা ঋতুস্রাব।
  • মাসিক চক্র: এই পুরো প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট চক্র মেনে ঘটে, যা সাধারণত ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর পুনরাবৃত্ত হয়।

মাসিক চক্র এবং এর বিভিন্ন পর্যায়

একটি সম্পূর্ণ মাসিক চক্রের গড় সময়কাল ২৮ দিন ধরা হলেও, এটি নারীভেদে ২১ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে এবং তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মাসিক চক্রের প্রধান পর্যায়গুলো হলো:

  • ক. মাসিক পর্যায় (Menstrual Phase): এটি হলো রক্তপাত চলার সময়কাল, সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন।
  • খ. ফলিকুলার পর্যায় (Follicular Phase): এই সময়ে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু পরিপক্ক হতে শুরু করে এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়ে।
  • গ. ওভুলেশন পর্যায় (Ovulation Phase): পরিপক্ক ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হয়। এই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
  • ঘ. লুটিয়াল পর্যায় (Luteal Phase): ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই পর্যায়। এই সময় প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ে। ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলে, এই পর্যায়ের শেষে হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং এন্ডোমেট্রিয়াম ভেঙে পরবর্তী মাসিক শুরু হয়।

মাসিকের সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ

মাসিকের আগে ও মাসিক চলাকালীন সময়ে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। এগুলোকে প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS) এবং মাসিকের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়:

  • শারীরিক লক্ষণ:
    • তলপেটে ব্যথা বা মোচড়ানো (ক্র্যাম্প)
    • স্তনে ব্যথা বা ভারী ভাব
    • মাথাব্যথা
    • শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা
    • মুখে ব্রণ ওঠা
    • পেট ফাঁপা বা গ্যাস হওয়া
    • কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
  • মানসিক ও আবেগিক পরিবর্তন (PMS):
    • মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন
    • খিটখিটে ভাব বা বিরক্তি
    • অকারণে কান্না পাওয়া বা আবেগপ্রবণতা
    • মনোযোগ কমে যাওয়া

মনে রাখবেন, এই লক্ষণগুলো সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে এবং এর তীব্রতাও ভিন্ন হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো স্বাভাবিক, তবে অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মাসিকের সময় স্বাস্থ্যবিধি (Menstrual Hygiene Management - MHM)

মাসিকের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। এটি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

  • স্যানিটারি পণ্য:
    • স্যানিটারি প্যাড: সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজলভ্য। প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পর অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাড পরিবর্তন করা উচিত।
    • ট্যাম্পন: এটি যোনির ভেতরে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারের আগে ও পরে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পর পরিবর্তন করা জরুরি। একটানা ৮ ঘণ্টার বেশি ট্যাম্পন ব্যবহার করলে টক্সিক শক সিনড্রোম (TSS) নামক বিরল কিন্তু মারাত্মক ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে।
    • মেনস্ট্রুয়াল কাপ: এটি সিলিকন বা রাবারের তৈরি একটি ছোট কাপ, যা যোনির ভেতরে স্থাপন করা হয় এবং ঋতুস্রাবের রক্ত জমা করে। এটি বারবার ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। প্রতি ৮-১২ ঘণ্টা পর পর এটি খালি করে, ধুয়ে আবার ব্যবহার করা যায়।
  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: মাসিকের সময় নিয়মিত গোসল করুন। যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করার সময় শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করুন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাইল্ড কোনো ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। সাবান বা কেমিক্যালযুক্ত পণ্য যোনির ভেতরের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করতে পারে।
  • ব্যবহৃত পণ্যের সঠিক নিষ্পত্তি: ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পন কাগজে মুড়ে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন। কখনোই টয়লেটে ফ্ল্যাশ করবেন না, এতে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় সমস্যা হতে পারে।

মাসিকের সময় পুষ্টি ও জীবনধারা

মাসিকের দিনগুলোতে শরীর কিছুটা দুর্বল লাগতে পারে। তাই এই সময় সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা খুব জরুরি।

  • খাদ্যাভ্যাস:
    • কী খাবেন: আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (যেমন- লাল মাংস, ডিম, পালং শাক, কলা, ডালিম) খান, কারণ রক্তপাতের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, দই, সবুজ শাকসবজি, বাদাম) পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (যেমন- কমলা, লেবু) আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
    • কী এড়িয়ে চলবেন: অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার (পেট ফাঁপা বাড়ায়), চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়, অতিরিক্ত ক্যাফেইন (চা, কফি) এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • ব্যায়াম: হালকা ব্যায়াম, যেমন - হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং মাসিকের ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো।
  • পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম: এই সময় শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
  • মানসিক চাপ কমানো: মেডিটেশন, গান শোনা বা পছন্দের কোনো কাজ করে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

মাসিক সংক্রান্ত সাধারণ সমস্যা ও প্রতিকার

অনেক নারীর ক্ষেত্রেই মাসিক নিয়ে কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো:

  • অনিয়মিত মাসিক (Irregular Periods): মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) এর কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। लगातार অনিয়মিত মাসিক হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • অতিরিক্ত রক্তপাত (Menorrhagia): যদি প্রতি ১-২ ঘণ্টা পর পর প্যাড বদলাতে হয় বা ৭ দিনের বেশি রক্তপাত হয়, তবে তাকে অতিরিক্ত রক্তপাত বলে। ফাইব্রয়েড, পলিপ বা হরমোনের সমস্যার কারণে এমন হতে পারে।
  • মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা (Dysmenorrhea): তলপেটে হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা স্বাভাবিক। তবে যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়, তবে তা এন্ডোমেট্রিওসিস বা অন্য কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে গরম সেঁক, আদা চা, বা হালকা ব্যায়াম উপকারে আসতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
  • মাসিক না হওয়া (Amenorrhea): গর্ভধারণ ছাড়াও অতিরিক্ত ব্যায়াম, ওজন কমে যাওয়া, মানসিক চাপ বা PCOS-এর মতো কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • অন্যান্য সমস্যা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), এন্ডোমেট্রিওসিস এর মতো সমস্যাগুলোও মাসিকের স্বাভাবিকতাকে প্রভাবিত করে। এগুলোর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

  • হঠাৎ করে মাসিকের ধরনে বড় কোনো পরিবর্তন আসলে (যেমন- সময়কাল, রক্তপাতের পরিমাণ)।
  • অতিরিক্ত রক্তপাত হলে বা ৭ দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত চলতে থাকলে।
  • মাসিকের সময় অসহনীয় ব্যথা হলে, যা সাধারণ ব্যথানাশকে কমে না।
  • ১৬ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম মাসিক শুরু না হলে।
  • গর্ভধারণ ব্যতীত টানা তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে মাসিক বন্ধ থাকলে।
  • দুটি মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে হঠাৎ রক্তপাত হলে।
  • মাসিকের সময় দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বা অস্বাভাবিক রঙের স্রাব হলে।

মাসিক নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্য

মাসিক নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক কথা প্রচলিত আছে। আসুন, কিছু ভুল ধারণা ভেঙে সঠিক তথ্য জেনে নিই:

  • ভুল ধারণা: মাসিকের সময় টক বা আচার খাওয়া যাবে না।
    সঠিক তথ্য: মাসিকের সাথে টক বা আচারের কোনো বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নেই। পরিমিত পরিমাণে যেকোনো স্বাস্থ্যকর খাবারই খাওয়া যায়।
  • ভুল ধারণা: মাসিকের সময় নারীরা অপবিত্র হয়ে যায়, তাই তাদের রান্নাঘরে বা উপাসনালয়ে প্রবেশ নিষেধ।
    সঠিক তথ্য: মাসিক একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও শারীরিক প্রক্রিয়া। এর সাথে পবিত্রতা বা অপবিত্রতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কেবল একটি সেকেলে ও বৈষম্যমূলক ধারণা।
  • ভুল ধারণা: মাসিকের সময় ব্যায়াম করা উচিত নয়।
    সঠিক তথ্য: হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম মাসিকের ব্যথা কমাতে এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • ভুল ধারণা: মাসিকের রক্ত দূষিত।
    সঠিক তথ্য: মাসিকের রক্ত শরীরের অন্যান্য রক্তের মতোই, শুধু এর সাথে জরায়ুর ভেতরের স্তরের কোষ মিশ্রিত থাকে। এটি কোনোভাবেই দূষিত নয়।

এসব ভুল ধারণা দূর করে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ মাসিক কী ও কেন হয়? নারী স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন

মাসিক বা ঋতুস্রাব নারী জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি কোনো লজ্জা বা ভয়ের বিষয় নয়, বরং এটি নারীর সুস্থতা এবং প্রজনন ক্ষমতার পরিচায়ক। নিজের শরীরকে জানুন, মাসিক সংক্রান্ত সঠিক তথ্যগুলো জানুন এবং কোনো সমস্যায় পড়লে সংকোচ না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মাসিককে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে, একে নারীত্বের স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর একটি প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করুন。

আসুন, আমরা সবাই মিলে মাসিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি, কুসংস্কার ও ভুল ধারণা দূর করি এবং একটি সুস্থ ও সচেতন সমাজ গঠনে এগিয়ে আসি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url