পিরিয়ড নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তব সত্য – ভুল ভাঙ্গুন, সচেতন হোন
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, পিরিয়ড নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তব সত্য তা নিয়ে । আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই পিরিয়ড নিয়ে নানান বিতর্ক ও বানুয়াট কিছু কুসংস্কার ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, যা আমাদের সমাজের নারীদের বিকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়, আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ুন, তাহলে অতিসহজেই এর সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন । চলুন শুরু করা যাকঃ-
পিরিয়ড বা মাসিক – এই শব্দটি শুনলেই আজও আমাদের সমাজের অনেকে কেমন যেন গুটিয়ে যান, অপ্রস্তুত বোধ করেন। অথচ এটি নারীদেহের একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। লজ্জা বা সংকোচের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় না বললেই চলে। ফলে, পিরিয়ডকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার, যা আদতে নারীস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আপনিও কি পিরিয়ড নিয়ে প্রচলিত নানা কথায় বিভ্রান্ত? কিংবা এটি নিয়ে কথা বলতে আজও অস্বস্তি বোধ করেন? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যই। আমাদের আজকের আলোচনার উদ্দেশ্য হলো পিরিয়ড সংক্রান্ত যাবতীয় ভ্রান্ত ধারণা দূর করে বৈজ্ঞানিক ও বাস্তব সত্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা। কারণ, লজ্জা নয়, সঠিক জ্ঞানই শক্তি।
পিরিয়ড কী এবং কেন হয়? (What is Period and Why Does it Happen?)
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, পিরিয়ড বা মাসিক হলো প্রতি মাসে নারীর জরায়ু থেকে রক্ত ও টিস্যু নির্গত হওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বয়ঃসন্ধিকালে (সাধারণত ১০-১৫ বছর বয়সে) মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামক দুটি হরমোনের প্রভাবে এটি শুরু হয়, যাকে বলে মেনার্কি (Menarche)। এই হরমোনগুলো প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু পরিপক্ক হতে এবং জরায়ুকে সম্ভাব্য গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।
যদি ডিম্বাণুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত না হয়, তাহলে জরায়ুর ভেতরের engorged আস্তরণ (endometrium) ভেঙে যায় এবং যোনিপথ দিয়ে রক্ত ও টিস্যু আকারে বেরিয়ে আসে। এটিই পিরিয়ড বা মাসিক। এই চক্রটি সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন অন্তর অন্তর চলতে থাকে, যতক্ষণ না নারী মেনোপজে (সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সে) পৌঁছান, অর্থাৎ যখন তার পিরিয়ড স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পিরিয়ড নিয়ে প্রচলিত প্রধান ভ্রান্ত ধারণা (Common Misconceptions about Periods)
পিরিয়ড নিয়ে আমাদের সমাজে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নানারকম ভুল ধারণা গেঁড়ে বসেছে। আসুন, সেগুলোর মধ্যে কিছু প্রধান ভ্রান্ত ধারণা এবং তার পেছনের বাস্তব সত্য জেনে নিই:
ভ্রান্ত ধারণা ১: পিরিয়ডের রক্ত অশুদ্ধ বা দূষিত।
বাস্তব সত্য: এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত একটি ধারণা। পিরিয়ডের রক্ত শরীরের অন্য যেকোনো স্থানের রক্তের মতোই স্বাভাবিক। এতে জরায়ুর ভেতরের স্তরের কোষ, মিউকাস এবং রক্ত থাকে। এটি কোনোভাবেই 'অশুদ্ধ' বা 'দূষিত' নয়।
ভ্রান্ত ধারণা ২: পিরিয়ডের সময় আচার, গাছ বা পবিত্র স্থানে স্পর্শ করা উচিত নয়।
বাস্তব সত্য: এর কোনো বৈজ্ঞানিক বা যৌক্তিক ভিত্তি নেই। এটি সম্পূর্ণ সামাজিক কুসংস্কার। পিরিয়ড কোনো অসুস্থতা নয় যে এর ফলে কোনো কিছু অপবিত্র হয়ে যাবে।
ভ্রান্ত ধারণা ৩: পিরিয়ডের সময় টক, দুধ বা নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া নিষেধ।
বাস্তব সত্য: পিরিয়ডের সময় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (যেমন- লাল মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি) রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন সি যুক্ত টক ফল আয়রন শোষণে সহায়ক। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, লবণ বা চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা ভালো, কারণ এগুলো পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
ভ্রান্ত ধারণা ৪: পিরিয়ডের সময় শারীরিক ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা উচিত নয়।
বাস্তব সত্য: হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়াম, পিরিয়ডকালীন ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মন ভালো রাখে। তবে, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম বা অস্বস্তি হলে জোর করে কিছু না করাই ভালো।
ভ্রান্ত ধারণা ৫: পিরিয়ডের সময় স্নান করা বা সাঁতার কাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাস্তব সত্য: পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য পিরিয়ডের সময় নিয়মিত স্নান করা অপরিহার্য। এটি ইনফেকশনের ঝুঁকি কমায় এবং সতেজ অনুভূতি দেয়। সঠিক স্যানিটারি সুরক্ষা (যেমন ট্যাম্পন বা মেন্সট্রুয়াল কাপ) ব্যবহার করে সাঁতারও কাটা যায়।
ভ্রান্ত ধারণা ৬: পিরিয়ডের ব্যথা মানেই মারাত্মক কোনো সমস্যা।
বাস্তব সত্য: পিরিয়ডের সময় তলপেটে হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা (ডিসমেনোরিয়া) হওয়াটা স্বাভাবিক, যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক এক ধরনের রাসায়নিকের কারণে হয়। তবে, যদি ব্যথা খুব তীব্র হয়, সাধারণ ব্যথানাশকেও না কমে, বা দৈনন্দিন কাজকর্মে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি এন্ডোমেট্রিওসিস বা অন্য কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
ভ্রান্ত ধারণা ৭: স্যানিটারি প্যাড/ট্যাম্পন/কাপ দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করা যায়।
বাস্তব সত্য: ইনফেকশন এবং টক্সিক শক সিনড্রোম (টিএসএস) এর মতো মারাত্মক ঝুঁকি এড়াতে স্যানিটারি প্যাড প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা, ট্যাম্পন প্রতি ৪-৮ ঘণ্টা (সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা) এবং মেন্সট্রুয়াল কাপ নির্দিষ্ট সময় পরপর (সাধারণত ৮-১২ ঘণ্টা) পরিষ্কার বা পরিবর্তন করা আবশ্যক।
পিরিয়ডের বাস্তব সত্য ও স্বাস্থ্য টিপস (Realities of Periods and Health Tips)
পিরিয়ড নারীস্বাস্থ্যের একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এটি নিয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা এবং কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি:
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা:
- আপনার স্বাচ্ছন্দ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্যানিটারি প্যাড, ট্যাম্পন বা মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করুন।
- প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি প্যাড পরিবর্তন করুন। ট্যাম্পন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টার বেশি রাখা উচিত নয়। মেন্সট্রুয়াল কাপ নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মেনে পরিষ্কার করুন।
- প্রতিবার শৌচকর্মের পর এবং প্যাড/ট্যাম্পন পরিবর্তনের সময় যৌনাঙ্গ পরিষ্কার জল দিয়ে সামনে থেকে পেছনে ধুয়ে নিন। সাবান ব্যবহার করলে মৃদু, গন্ধহীন সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
- ব্যবহৃত প্যাড বা ট্যাম্পন কাগজে মুড়ে বা ডিসপোজেবল ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন। খোলা জায়গায় বা কমোডে ফেলবেন না।
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা:
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন – কচুশাক, পালংশাক, ডিম, মাছ, মাংস খাদ্যতালিকায় রাখুন।
- প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
- ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খান।
- অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
পিরিয়ডকালীন ব্যথা বা অস্বস্তি কমাতে ঘরোয়া উপায়:
- তলপেটে হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম কাপড়ের সেঁক দিন।
- হালকা গরম জলে স্নান করুন।
- আদা চা, ক্যামোমাইল চা বা পুদিনা চা পান করতে পারেন।
- হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করুন।
পিরিয়ড ট্র্যাকিং এর গুরুত্ব:
- আপনার পিরিয়ড সাইকেল (কবে শুরু হলো, কতদিন থাকলো, প্রবাহ কেমন) একটি ক্যালেন্ডারে বা অ্যাপে লিখে রাখুন। এটি আপনাকে পরবর্তী পিরিয়ডের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং কোনো অনিয়ম হলে তা বুঝতে সাহায্য করবে।
পিএমএস (Premenstrual Syndrome):
- পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে থেকে মেজাজ পরিবর্তন, স্তনে ব্যথা, পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যাকে পিএমএস বলে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস অনুসরণের মাধ্যমে এর তীব্রতা কমানো যায়। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? (When to Consult a Doctor?)
সাধারণত পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি:
- যদি ১৬ বছর বয়সের মধ্যে পিরিয়ড শুরু না হয়।
- যদি হঠাৎ করে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায় বা কয়েক মাস বন্ধ থাকে (গর্ভধারণ বা মেনোপজ ছাড়া)।
- যদি পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয় (যেমন – প্রতি ঘণ্টায় প্যাড বা ট্যাম্পন পরিবর্তন করতে হয়)।
- যদি পিরিয়ডের ব্যথা অসহনীয় হয় এবং সাধারণ ব্যথানাশকে না কমে।
- যদি পিরিয়ডের মাঝেও রক্তপাত হয় (স্পটিং)।
- যদি স্রাবে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ বা রং পরিবর্তন দেখা যায়।
- যদি পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়।
- যদি পিরিয়ডের সাথে জ্বর বা অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
সামাজিক ট্যাবু ভাঙা ও সচেতনতা বৃদ্ধি (Breaking Social Taboos and Increasing Awareness)
পিরিয়ড কোনো লজ্জা বা অপবিত্রতার বিষয় নয়, বরং এটি নারীর প্রজনন ক্ষমতার এবং সুস্বাস্থ্যের পরিচায়ক। এই স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়াটিকে ঘিরে যে সামাজিক ট্যাবু ও নীরবতা রয়েছে, তা ভাঙা অত্যন্ত জরুরি।
- পরিবারে খোলামেলা আলোচনা: মা-বাবা, বিশেষ করে মায়েদের উচিত বয়ঃসন্ধিকালের আগে থেকেই মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া। ছেলেদেরও এই বিষয়ে জানানো প্রয়োজন যাতে তারা সংবেদনশীল ও সহায়ক হতে পারে।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে পিরিয়ড ও প্রজনন স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
- সচেতনতা কর্মসূচি: সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পিরিয়ড স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন।
- পুরুষদের অংশগ্রহণ: পিরিয়ড শুধু নারীদের বিষয় নয়। পুরুষদেরও এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা এবং নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার।
আসুন, আমরা সকলে মিলে পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু ভেঙে একটি সুস্থ ও সচেতন সমাজ গড়ি। যেখানে প্রতিটি মেয়ে নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় তার শরীর ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পারবে।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ পিরিয়ড নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তব সত্য
পিরিয়ড নারী জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি কোনো রোগ বা অভিশাপ নয়, বরং প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে পিরিয়ড সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রত্যেক নারীর জন্য অপরিহার্য। মনে রাখবেন, আপনার শরীর আপনার, একে জানুন, বুঝুন এবং এর যত্ন নিন।
এই বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন বা নিজস্ব অভিজ্ঞতা থাকলে নিচে কমেন্ট সেকশনে আমাদের জানাতে পারেন। লেখাটি তথ্যবহুল মনে হলে শেয়ার করে অন্যদেরও সচেতন করতে সাহায্য করুন। সঠিক তথ্যে সুস্থ থাকুক প্রতিটি নারী।
(ডিসক্লেইমার: এই ব্লগ পোস্টটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা বিশেষ প্রয়োজনে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url