উইন্ডোস ১১ এর নতুন ২০টি টিপস দিয়ে পেয়ে যান দ্রুত ও স্মার্ট অভিজ্ঞতা


মাইক্রোসফট উইন্ডোস ১১ তার আধুনিক ডিজাইন, উন্নত পারফরম্যান্স এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। আপনি যদি সবেমাত্র উইন্ডোস ১১ ব্যবহার শুরু করেন অথবা এর ফিচারগুলো আরও ভালোভাবে জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমরা উইন্ডোস ১১ এর সেরা নতুন ২০টি টিপস নিয়ে আলোচনা করবো, যা আপনার দৈনন্দিন কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ, দ্রুত এবং আনন্দদায়ক করে তুলবে। এই টিপসগুলো ব্যবহার করে আপনি উইন্ডোস ১১ এর পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে পারবেন।

উইন্ডোস ১১ এর সেরা নতুন ২০ টি টিপস: আপনার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও আধুনিক করে তুলুন!


উইন্ডোস ১১ এর সেরা ২০টি টিপস

আসুন, উইন্ডোস ১১ এর সেই কার্যকরী টিপসগুলো জেনে নিই:

১. নতুন স্টার্ট মেনু কাস্টমাইজেশন (New Start Menu Customization)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর অন্যতম আকর্ষণীয় পরিবর্তন হলো এর কেন্দ্রিক স্টার্ট মেনু। এটিতে পিন করা অ্যাপস এবং 'Recommended' সেকশন রয়েছে, যা আপনার সাম্প্রতিক ফাইল ও অ্যাপস দেখায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • অ্যাপ পিন/আনপিন করতে স্টার্ট মেনুতে অ্যাপের উপর রাইট-ক্লিক করুন এবং "Pin to Start" বা "Unpin from Start" বেছে নিন।
  • "Recommended" সেকশন থেকে আইটেম সরাতে বা সেটিংস পরিবর্তন করতে স্টার্ট মেনুর সেটিংস-এ (Start Settings) যান।
  • স্টার্ট মেনুতে ফোল্ডার তৈরি করে অ্যাপস গুছিয়ে রাখতে পারবেন, যা আপনার কাজকে আরও সুসংগঠিত করবে।

২. টাস্কবার সেটিংস ও অ্যালাইনমেন্ট (Taskbar Settings & Alignment)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর টাস্কবার ডিফল্টভাবে মাঝখানে থাকলেও, এটিকে পুরনো স্টাইলের মতো বামেও নেওয়া যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারে রাইট-ক্লিক করে "Taskbar settings" এ যান।
  • "Taskbar behaviors" সেকশনে "Taskbar alignment" থেকে "Left" অথবা "Center" বেছে নিন।
  • এখান থেকে আপনি সার্চ, টাস্ক ভিউ, উইজেটস, চ্যাট আইকনগুলো দেখানো বা লুকানোর অপশনও পাবেন।

৩. স্ন্যাপ লেআউটস ও স্ন্যাপ গ্রুপস (Snap Layouts & Snap Groups)

বিবরণ: মাল্টিটাস্কিং এর জন্য এটি একটি অসাধারণ ফিচার। একাধিক উইন্ডোকে স্ক্রিনে বিভিন্ন লেআউটে সাজানো এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • যেকোনো উইন্ডোর ম্যাক্সিমাইজ বাটনের উপর মাউস হোভার করলে বিভিন্ন স্ন্যাপ লেআউট অপশন দেখতে পাবেন।
  • পছন্দমতো লেআউট বেছে নিয়ে উইন্ডোগুলোকে সাজান।
  • স্ন্যাপ গ্রুপস ফিচারটি আপনার সাজানো উইন্ডোগুলোকে মনে রাখে, টাস্কবারে হোভার করলে সহজেই সেই গ্রুপে ফিরে যেতে পারবেন।

৪. উইজেটস প্যানেল ব্যবহার (Using the Widgets Panel)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ তে একটি নতুন উইজেটস প্যানেল যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আপনি খবর, আবহাওয়া, ক্যালেন্ডার, শেয়ার বাজারের তথ্য, টু-ডু লিস্ট ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্যের ঝলক পাবেন।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারের উইজেটস আইকনে ক্লিক করে অথবা Win + W শর্টকাট চেপে এটি খুলুন।
  • "+" বাটনে ক্লিক করে নতুন উইজেট যোগ করুন, কাস্টমাইজ করুন বা অপ্রয়োজনীয় উইজেট সরিয়ে দিন।

৫. মাইক্রোসফট টিমস চ্যাট ইন্টিগ্রেশন (Microsoft Teams Chat Integration)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর টাস্কবারে মাইক্রোসফট টিমস এর একটি বেসিক চ্যাট ফিচার বিল্ট-ইন রয়েছে, যা দিয়ে দ্রুত যোগাযোগ করা যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারের চ্যাট (Chat from Microsoft Teams) আইকনে ক্লিক করুন।
  • দ্রুত মেসেজ পাঠান, কন্টাক্টস যোগ করুন এবং ভিডিও বা অডিও কল শুরু করুন আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে।

৬. নতুন মাইক্রোসফট স্টোর (The New Microsoft Store)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর মাইক্রোসফট স্টোরকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এখন আরও দ্রুত, ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং এতে প্রচলিত উইন্ডোজ অ্যাপের পাশাপাশি কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও (Amazon Appstore এর মাধ্যমে) চালানোর সুবিধা রয়েছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • স্টোর ব্রাউজ করে আপনার পছন্দের অ্যাপস, গেমস, মুভি ও টিভি শো খুঁজে ইনস্টল করুন।
  • অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর জন্য Amazon Appstore ইনস্টল করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন (উপলব্ধতা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে)।

৭. ফাইল এক্সপ্লোরারের নতুন ইন্টারফেস ও কমান্ড বার (File Explorer's New Interface & Command Bar)

বিবরণ: ফাইল এক্সপ্লোরার পেয়েছে আধুনিক লুক, নতুন আইকন এবং একটি সরলীকৃত কমান্ড বার, যা ফাইল ম্যানেজমেন্টকে আরও সহজ করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • নতুন কমান্ড বারে কাট, কপি, পেস্ট, রিনেম, শেয়ার ও ডিলিট এর জন্য নতুন আইকন ব্যবহার করা হয়েছে।
  • কনটেক্সট মেনু (রাইট-ক্লিক মেনু) আরও সংক্ষিপ্ত হয়েছে, তবে "Show more options" এ ক্লিক করে পুরনো মেনুটিও পাওয়া যায়।

৮. পুনরায় ডিজাইন করা সেটিংস অ্যাপ (Redesigned Settings App)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর সেটিংস অ্যাপটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে নেভিগেশন সহজতর এবং সেটিংসগুলো আরও সুসংগঠিত।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • বাম পাশের নেভিগেশন প্যানেল ব্যবহার করে দ্রুত বিভিন্ন সেটিংসে (যেমন সিস্টেম, ব্লুটুথ ও ডিভাইস, নেটওয়ার্ক, পার্সোনালাইজেশন) যাওয়া যায়।
  • শক্তিশালী সার্চ ফাংশন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সেটিংস খুঁজে বের করা আরও সহজ।

৯. পার্সোনালাইজেশন: থিম, ডার্ক মোড ও অ্যাকসেন্ট কালার (Personalization: Themes, Dark Mode & Accent Colors)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ কে নিজের মতো করে সাজানোর জন্য রয়েছে দারুণ সব অপশন।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • "Settings > Personalization" এ যান।
  • এখান থেকে ডার্ক মোড বা লাইট মোড সেট করতে পারবেন, বিভিন্ন বিল্ট-ইন থিম বেছে নিতে পারবেন অথবা নিজের কাস্টম থিম তৈরি করতে পারবেন।
  • উইন্ডোজের বিভিন্ন অংশে ব্যবহৃত অ্যাকসেন্ট কালারও পরিবর্তন করতে পারবেন।

১০. ভার্চুয়াল ডেস্কটপ উন্নতকরণ (Virtual Desktop Enhancements)

বিবরণ: কাজের পরিধি অনুযায়ী একাধিক ডেস্কটপ তৈরি ও পরিচালনা করার সুবিধা উইন্ডোস ১১ তে আরও উন্নত করা হয়েছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারের "Task View" আইকনে ক্লিক করে বা Win + Tab চেপে ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ম্যানেজ করুন।
  • নতুন ডেস্কটপ তৈরি করুন, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করুন, এমনকি প্রতিটির জন্য আলাদা ওয়ালপেপারও সেট করতে পারবেন।

১১. ফোকাস সেশনস (Focus Sessions in Clock App)

বিবরণ: কাজে গভীর মনোযোগ ধরে রাখার জন্য উইন্ডোস ১১ এর ক্লক অ্যাপে "ফোকাস সেশনস" ফিচারটি যুক্ত করা হয়েছে। এটি Pomodoro টেকনিকের মতো কাজ করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • ক্লক অ্যাপ খুলুন এবং "Focus sessions" এ যান।
  • কাজের সময় (যেমন ২৫ মিনিট) এবং ছোট বিরতির সময় নির্ধারণ করুন।
  • এটি Microsoft To Do এর সাথেও ইন্টিগ্রেট করা যায়, ফলে আপনি নির্দিষ্ট টাস্কের জন্য ফোকাস সেশন সেট করতে পারবেন।

১২. ভয়েস টাইপিং (Voice Typing - Windows + H)

বিবরণ: কীবোর্ড ছাড়াই কথা বলে টাইপ করার এই সুবিধাটি উইন্ডোস ১১ তে আরও উন্নত।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • যেকোনো টেক্সট ফিল্ডে কার্সর রেখে Win + H শর্টকাট চাপুন।
  • মাইক্রোফোন আইকনে ক্লিক করে কথা বলা শুরু করলেই আপনার কথাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইপ হতে থাকবে। এটি বাংলা সহ একাধিক ভাষা সমর্থন করে।

১৩. কুইক সেটিংস প্যানেল (Quick Settings Panel)

বিবরণ: ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ভলিউম, ডিসপ্লে ব্রাইটনেস, ফোকাস অ্যাসিস্ট, এয়ারপ্লেন মোড ইত্যাদির মতো জরুরি সেটিংসগুলো এখন একটি কুইক সেটিংস প্যানেলে একত্রিত করা হয়েছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারের ডানদিকে নেটওয়ার্ক, ভলিউম বা ব্যাটারি আইকনে ক্লিক করে অথবা Win + A শর্টকাট চেপে এটি খুলুন।
  • এখান থেকে আপনি সেটিংস পিন/আনপিন করতে পারবেন এবং স্লাইডার দিয়ে ভলিউম বা ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন।

১৪. নোটিফিকেশন সেন্টার ও ক্যালেন্ডার (Notification Center & Calendar)

বিবরণ: সকল অ্যাপ নোটিফিকেশন এবং আপনার ক্যালেন্ডার ইভেন্টগুলো এখন এক জায়গায় সুবিন্যস্তভাবে দেখানো হয়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • টাস্কবারের ডানদিকে তারিখ ও সময়ের উপর ক্লিক করে অথবা Win + N শর্টকাট চেপে নোটিফিকেশন সেন্টার ও ক্যালেন্ডার খুলুন।
  • এখান থেকে নোটিফিকেশন কাস্টমাইজ করতে এবং ফোকাস অ্যাসিস্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।

১৫. উন্নত টাচ ও পেন অভিজ্ঞতা (Improved Touch & Pen Experience)

বিবরণ: টাচস্ক্রিন ডিভাইস এবং স্টাইলাস ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোস ১১ তে নতুন জেসচার, অ্যানিমেশন এবং উন্নত ইন্টারফেস যুক্ত করা হয়েছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • নতুন টাচ জেসচারগুলো (যেমন তিন বা চার আঙুলের সোয়াইপ দিয়ে অ্যাপ পরিবর্তন বা ডেস্কটপ দেখানো) ব্যবহার করা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক।
  • পেন মেনু কাস্টমাইজ করে আপনার পছন্দের অ্যাপ বা ফাংশন দ্রুত অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

১৬. গেমিং এর জন্য অটো HDR ও ডিরেক্টস্টোরেজ (Auto HDR & DirectStorage for Gaming)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ গেমিংয়ের জন্য বিশেষভাবে অপটিমাইজ করা হয়েছে। সাপোর্টেড গেম ও হার্ডওয়্যারে অটো HDR ফিচারটি SDR গেমগুলোতেও HDR এর মতো ভাইব্র্যান্ট কালার দেবে। ডিরেক্টস্টোরেজ টেকনোলজি গেম লোডিং টাইম কমাবে (NVMe SSD প্রয়োজন)।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • "Settings > System > Display > HDR" এ গিয়ে অটো HDR চালু আছে কিনা দেখুন।
  • Win + G (Xbox Game Bar) ব্যবহার করে গেমিং সম্পর্কিত বিভিন্ন সেটিংস ও ফিচার অ্যাক্সেস করুন।

১৭. উন্নত স্ক্রিনশট টুলস (Snipping Tool)

বিবরণ: পুরনো Snipping Tool এবং Snip & Sketch কে একত্রিত করে উইন্ডোস ১১ তে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী Snipping Tool দেওয়া হয়েছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • Win + Shift + S শর্টকাট ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক স্ক্রিনশট নিন।
  • রেকট্যাঙ্গুলার, ফ্রিফর্ম, উইন্ডো, অথবা ফুলস্ক্রিন – বিভিন্ন মোডে স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
  • স্ক্রিনশট নেওয়ার পর এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যায় এবং এডিটিং এর জন্য Snipping Tool এ ওপেন হয়।

১৮. দরকারি কিবোর্ড শর্টকাট (Useful Keyboard Shortcuts)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ এর কিছু নতুন এবং পুরনো কার্যকরী কিবোর্ড শর্টকাট আপনার কাজকে আরও দ্রুত করবে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • Win + Tab: টাস্ক ভিউ ও ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ম্যানেজমেন্ট।
  • Win + V: ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি (একাধিক আইটেম কপি করে পেস্ট করার জন্য)।
  • Win + . (Period) বা Win + ; (Semicolon): ইমোজি, GIF ও সিম্বল প্যানেল।
  • Win + E: ফাইল এক্সপ্লোরার খোলা।
  • Win + I: সেটিংস অ্যাপ খোলা।

১৯. উইন্ডোজ আপডেট প্রক্রিয়া ও অ্যাক্টিভ আওয়ারস (Windows Update Process & Active Hours)

বিবরণ: উইন্ডোস ১১ তে আপডেট প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করা হয়েছে এবং এটি ব্যবহারকারীকে কম বাধা দেয়। আপডেটের আনুমানিক ইনস্টলেশন সময়ও এখন দেখানো হয়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • "Settings > Windows Update" এ গিয়ে অ্যাক্টিভ আওয়ারস সেট করুন, যাতে আপনার কাজের সময় কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট না হয়।
  • এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিঘ্নিত হবে না।

২০. ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি (Clipboard History)

বিবরণ: এই অসাধারণ ফিচারটি আপনাকে একাধিক আইটেম (টেক্সট, ইমেজ) কপি করে রাখতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেস্ট করতে দেয়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন/সুবিধা:

  • "Settings > System > Clipboard" এ গিয়ে "Clipboard history" অপশনটি চালু করুন।
  • এরপর Win + V শর্টকাট চাপলেই আপনার ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি দেখতে পাবেন।
  • এখান থেকে যেকোনো আইটেম সিলেক্ট করে পেস্ট করতে পারবেন বা গুরুত্বপূর্ণ আইটেম পিন করে রাখতে পারবেন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ উইন্ডোস ১১ এর সেরা নতুন ২০ টি টিপস

উইন্ডোস ১১ নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী এবং আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম। উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজের গতি বাড়াতে পারবেন, মাল্টিটাস্কিং আরও সহজে করতে পারবেন এবং সামগ্রিকভাবে একটি আধুনিক ও মসৃণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। প্রতিটি ফিচার নিজে পরখ করে দেখুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী উইন্ডোস ১১ কে সাজিয়ে তুলুন।

আপনার পছন্দের টিপস কোনটি? অথবা এমন কোনো টিপস কি আছে যা আমরা এখানে উল্লেখ করিনি? নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানান! উইন্ডোস ১১ এর নতুন ফিচারগুলো উপভোগ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url